লামা প্রতিনিধি :: বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক রাতে ৮ বসতঘরে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চাক কাটার ঝিরি পাড়ায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লূট করে নিয়ে যায়। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দিনগত রাতে ইউনিয়নের পেতাইন্যার ঝিরির ৪টি বসতঘর ও ২৫ নভেম্বর দিনগত রাতে ফুটেরঝিরির জসিম উদ্দিনের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। গত তিন মাসে একের পর এক বসতঘরে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, মুখোশ পরিহিত ৯-১০ জনের একদল ডাকাত অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে ইউনিয়নের চাক কাটার ঝিরি পাড়ায় হানা দেয়। ডাকাতরা একে একে আমান উল্লাহ, মো. জাকের হোসেন, মো. আবদুল্লাহ, আজিজুল হক, আবু বক্কর, সুরত আলম, জহুরা খাতুন ও আবু নাছেরের বসতঘরে ঢুকে ঘরে রক্ষিত নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ ১৪টি মোবাইল সেট লুটে নেয়। পরে খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.কে.এইচ সব্বির আহমদ বলেন, গত তিন মাসে কুমারী এলাকার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার জরুরী।
বসতঘরে ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ডাকাতির ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আমিনুল হক বলেন, ডাকাতি ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: